হায় রে ! Toxicity
আমরা এখন ভাবতে থাকি কি জমানা এলো বাসায় বসে ওডার দিলাম আর ফিৎজা এলো, কি জস জমানা পারি দিচ্ছি।
উন্নতি করতে করতে এখন প্রায় সব জিনিসের ই হোম ডেলিভারি হয়।
যেমন, বিষন্নতা, দাঙ্গা, মানহানি, বর্বরতা ইত্যাদি।
ধরুণ আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন, সকালে স্মার্ট ফোনের এলার্মে ঘুম ভাংলো। তার পর এলার্ম অফ করতে করতে দেখলেন আজকের ক্লাস, মিটিং কেনসেল হল কি-না, নিউজ আপডেট দেখলাম বা রাতে দেয়া কনভার্সেশন গুলোর রিয়েকশান কেমন ইত্যাদি। তখন হঠাৎ চোখে পরলো একটা বাজে কমেন্ট বা ইউটুবে মারা মারি হচ্ছে বা ফেইসবুকে রেষারেষি। তাও আবার অন রিলেভেন্ট, তাদের কোন বিষয়ই না। সম্পূর্ণ অজানা ফালতু টপিক্স এ দু দেশের কোন এক বিষয় যা অকাজের ইমপেক্ট। তাতে ও তাদের এতো কষাকষি। সাথে সাথে আপনার সারাটা দিন খারাপ লাগতে শুরু করলো।
তারপর যখন কাজে লাগলেন, তখন প্রতিটা কাজই আপনার কাছে বাজে কমেন্টের নির্জাস মনে হলো। কেউ একজন হায় বললো, কিন্তু তা ও আপনার তেতু লাগলো। এই যে হেইটরেড, ডিপরেশন , ফাস্টরেশন, ফেইক নিউজ এই গুলোর হোম ডেলিভারি হচ্ছে, তা আমাদের সমৃদ্ধ মননশীলতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। অনলাইন এ বিষয়গুলো প্রতিটি সোস্যাল মিডিয়াকে এতটা টকসিট করে দিচ্ছে যে অনেকেই এটা টেগ করে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে । কিন্তু আপনার মতো সবাইতো অার ভালো দিক টা করছে না। তারা আরো এতে ঘি ঢেলে দিচ্ছেন।
তাছাড়া আরও তো আসছে নবাগত রা । তারা আমাদের চেয়ে আরোও বেশি ইউজ করবে।
তাই আপনি যদি ছেড়ে চলে যান, তাহলে যারা এগুলো ছড়াচ্ছে, তাদের কারণে নতুন রা এই টকসিসিটিস ছাড়া আর কিছুই পাবে না। তাই আপনাকে ভালো ভালো নলেজ , রিসোর্স রেখে জেতে হবে। স্বার্থটা আসলে আপনারই , আপনারই নতুন প্রজন্মের জন্য।
একটা জিনিস লক্ষ্য করুণ ছেলে তো আছেই মেয়েরাও কি কম পচায়। একটু চান্স দিলেই আগুন লাগিয়ে দেয়। তাই আপনাকে কিছু টা সময় করে ও অনলাইনে ভালো ভালো কন্টেন্ট ছাড়তে হবে।
যাতে করে অন্ধকার অালোকে মুছে না দিতে পারে।
এখন কি শুধু লিখেই যাবেন আর কিছু করবেন না। হে । একটা এডাপ্ট নিতে পারেন । যেমন আপনি যদি কোথাও ব্যবস্থাপনায় অংশ পান তখন যারা সুস্যাল মিডিয়াকে পচায় , তাদের কে ডিসকুয়ালিফাইট করুণ আর ধরিয়ে দিন তাদের ভূল।
তাহলে আরোও দশ জন শিখে যাবে ।
এ রকম আরো কেউ উদ্দ্যোগী হলে কালচার এ প্রভাবটা পরতে থাকবে। কারণ তাদের বুক রিভিউ দেখার ধর্য্য নাই তবে পেটে লাগলে পিট সোজা করতে জানে।
আরও কিছু স্টেপ হতে পারে যেমন আপনি জাস্ট ভালো দিক গুুলো নিয়ে আরটিকল লিখে বা ভিডিও বানিয়ে সেয়ার করে দিলেন আর ভাবলেন ফলো করলে করো না করলে আমার কি।
না । এরকমটা ও না। এটাকে মার্কেটিং করতে হবে। যেমন প্রতিটা কমেন্ট সেকসেনে দিয়ে আপনার আরটিকলটা ছেড়ে আসতে পারেন। তাহলে আসতে আসতে লাজ শিখে যাবে।
আর যদি কিছু না করেন , তাহলে একটা কথা আছেনা যে, পূথিবী এ জন্য ধ্বংস হয় না যে খারাপ মানুষ বেড়ে যায়। বরং এজন্য ধ্বংস হয় যে ভালো মানুষ গুলো কিছুই করে না। ৃ
No comments